তথ্য ভান্ডার

কাবুলিওয়ালা – মিনুর মায়ের সাথে মিল ও অমিল

মাধ্যমিক স্তরের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য রচিত বাংলা বইয়ে জীবন ঘনিষ্ট একটি গল্প কাবুলিওয়ালা । এই কাবুলিওয়ালা গল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি দেখানো হয়ছে। কাবুলিওয়ালা গল্পের মিনুর মায়ের সাথে আহনাফের মায়ের এবং মনোয়ার হোসেন এর চরিত্রের সাথে কাবুলিওয়ালা গল্পের মূল চরিত্র নিয়ে আজকে দুটো প্রশ্নের উত্তর শিখবো আমরা।

প্রথমেই একটি উদ্দীপক পড়ে নাও-

ভাড়াটিয়া মনােয়ার হােসেন বাড়ির মালিক হামিদ সাহেবের শিশু সন্তান আহনাফকে ভীষণ আদর-সােহাগ করেন।

নিঃসন্তান মনােয়ার হােসেন প্রায়ই অফিস থেকে ফেরার পথে আহনাফের জন্য খেলনা, খাবারসহ নানা উপহার নিয়ে আসেন। আহনাফের মা এই। বিষয়টিকে ভালােভাবে গ্রহণ করেন না। স্বামীকে এবিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

গ) উদ্দীপকে আহনাফের মায়ের সাথে ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পের মিনুর মা কোনদিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ ?—ব্যাখ্যা কর।
ঘ) উদ্দীপকে ‘মনােয়ার হােসেনের চরিত্রে ‘কাবুলিওয়ালা গল্পের মূল ভাবের প্রতিফলন ঘটেছে। উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

উদ্দীপকের আলোকে আমরা এখন দুটি প্রশ্ন সমাধান করবো-

উদ্দীপকে আহনাফের মায়ের সাথে ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পের মিনুর মা কোনদিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ ?—ব্যাখ্যা কর:

উত্তর: উদ্দীপকে আহনাফের মায়ের সাথে ‘কাবুলিওয়ালা’ গল্পের মেনুর মায়ের নিজের সন্তান অপরের সহজে না দেওয়া দিক থেকে সাদৃশ্যপূর্ণ। ‌

কাবুলিওয়ালার এক মেয়ে ছিল। সেই মেয়ের প্রতিচ্ছবি তিনি মিনুর মধ্যে পেতেন। ‌তাই প্রায়ই মিনুর সাথে গল্প করতেন।

কিন্তু মিনুর মা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত স্বভাবের লোক ছিলেন তাই তিনি কাবলিওয়ালার সম্পর্কে সজাগ থাকতেন এবং তিনি চাইতেন না নিউ কাবলি ওয়ালার সহচার্যে থাকুক। ‌

উদ্দীপকের আহনাফের মা, মনোয়ার হোসেনের ব্যবহারটি ভালোভাবে নেননি। ‌ নিঃসন্তান মনোয়ার হোসেন আহনাফকে আদর করতে চাইলে তিনি সেটা ভালোভাবে নেন না। বরং তার স্বামীকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। যা কাবুলিওয়ালা গল্পের মিনুর মায়ের পরিচায়ক।

তাই বলা যায়, উদ্দীপকের আহনাফের মা ও কাবুলিওয়ালা মিনুর মা একে অপরের পরিপূরক।

ঘ) উদ্দীপকে ‘মনােয়ার হােসেনের চরিত্রে ‘কাবুলিওয়ালা গল্পের মূল ভাবের প্রতিফলন ঘটেছে। উক্তিটির যথার্থতা বিশ্লেষণ কর।

উদ্দীপকে মনোয়ার হোসেনের চরিত্র কাবুলিওয়ালা গল্পের মূলভাব এর প্রতিফলন ঘটেছে – উক্তিটি যথার্থ।

কাবুলিওয়ালা গল্পের কাবুলিওয়ালা এক মেয়ে ছিল। পেটের দায়ে তিনি যখন কাবলিওয়ালা সেজে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন তখন তার মেয়ের মতো একটি মেয়েকে দেখেন। মেয়েটির নাম ছিল মিনু।

কাবলিওয়ালা মিনু মধ্যে নিজের মেয়ের প্রতিচ্ছবি দেখতেন।

কাবলিওয়ালা মিনুর সাথে কথা বলে ভাবজমায় কিন্তু এর মধ্যেও অঘটনের জন্য কাবলিওয়ালা কে মিনুর থেকে অনেক দূরে থাকতে হয়।

কিন্তু পরক্ষনেই আবার যখন মিনুকে দেখতে যায় দেখা করতে চায় তখন মিনুর মা বাধা দেন।

মিনুর মা ছিলেন অত্যন্ত শঙ্কিত স্বভাবের। তাই তিনি মিনুর সাথে কাবলিওয়ালা কে দেখা করতে দিতে চাননি।

উদ্দীপকে মনোয়ার এর সাথে কাবলিওয়ালা আহনাফের মিনু এবং আহনাফের মায়ের সাথে মিনুর মায়ের যথেষ্ট মিল রয়েছে।

এছাড়াও কাবুলিওয়ালা পুরো গল্পের সাথে উদ্দীপকের পুরোপুরি মিল রয়েছে। অতএব প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি সঠিক।

তোমাদের জন্য এই টিউনটি প্রকাশ করেছে খাদিজা আক্তার স্বর্ণা, কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ

তোমাদের অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ সম্পন্ন করার জন্য বাংলা নোটিশ ফেসবুক গ্রুপে দেশের বিভিন্ন নামকরা বিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষক ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা নিয়মিত আলোচনা করছে। তুমিও যোগ দিয়ে বিভিন্ন তথ্য পেতে পারো-

দেশের সকল স্তরের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, চাকুরি, বৃত্তিসহ সকল অফিসিয়াল নিউজ সবার আগে পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ফেসবুক পেইজটি Like & Follow করে রাখুন;

ইউটিউবে সকল তথ্য পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেল Subscribe করে রাখুন।

তোমার জন্য নির্বাচিত কিছু তথ্য:

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ